ভোলা সদর উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে কাকডাকা ভোরে সরকারি গম পাচারের ঘটনা ঘটেছে।

চলছে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনাটি ধামা চাপা দেয়ার জন্য সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য অনুরোধ করেন উপ-পরিদর্শক মো. সোহেল মিয়া।

তিনি বলেন, সংবাদ প্রকাশ করে আমার কিছু করতে পারবেন না। আমি ভোলার ছেলে, বাড়ি আমার বোরহানউদ্দিনে, আমার বড় ভাই মনপুরার খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা। আমাদের হাত অনেক লম্বা। এই আমলে চাকুরি নিছি, বুঝতেই তো পারছেন।

ঘটনার সূত্র থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে গোডাউনের ভিতরে একটি ব্যাটারি চালিত বোরাক প্রবেশ করা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কৌতুহল দেখা দেয়। সকাল ৮ টার সময় বোরাকটি সরকারি গম বোঝাই করে গোডাউনের গেট থেকে বের হয়ে সদর রাস্তায় উঠে। পরে স্থানীয়রা বোরক চালকের কাছে জানতে চান কিসের গম। বোরাক চালক বলেন, উত্তর জয়নগর তালতলি গ্রামের রিয়াজের। রিয়াজ তজুমুদ্দিন খাদ্য গুদামে পিয়নের চাকুরি করছেন। কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি চালক।

কোনো বৈধ কাগজ ছাড়া সরকারি গুদামের গম বের হওয়ার নিয়ম আছে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চায় দায়িত্বে থাকা উপ পরিদর্শক মো. সোহেল মিয়ার কাছে। সোহেল মিয়া বলেন, বৈধ কাগজ আছে, এটা ফায়ার সার্ভিসের গম। বৈধ কাগজ দিতে ভুলে গেছি।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলছেন, এই গম আমার নয়, আমার গম রিয়াজের কাছে বিক্রি করছি। সরকারি গম বিক্রি করা যায় কিনা জানতে চাইলে বলেন, সবাই জানে (ওপেন সিক্রেট)।

তজুমুদ্দিন খাদ্য গুদামের পিয়ন রিয়াজের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়ষন্ত্র। আমি কোনো গমের ব্যবসা করি না। গমের ব্যবসা করে ভোলা গোডাউনের সোহেল।

ভোলা গুদাম কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক, আশা করি, সামনের দিকে এমন হবে না।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. আবুবকর বলেন, এমন কোনো ঘটনার সূত্রপাত ঘটে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেব।